পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি দুই মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আজ (২৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালিপদ মৃধা।
এর আগে হাইকর্টের অপর একটি বেঞ্চ পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে (নট প্রেস রিজেক্ট) খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। এর পরে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানিতে ওঠে।
এর আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশ রিপাবলিক্যান পার্টি নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান আবু হানিফ হৃদয় জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। তিনি যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
রিটে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। এর পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতু।
এরপর ওই বছরের ২৬ জুন এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আগামী ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।